রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জে আজ শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ইউনিয়ন সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে। সংঘর্ষে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের প্রধান অতিথি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানকে পুলিশ অবরোধ করে রাখে।
আমানউল্লাহ অভিযোগ করেন, পুলিশ অতর্কিতে সম্মেলনে হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন।
পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সম্মেলনে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেলে কেরানীগঞ্জের শিকারীটোলা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির শাক্তা ইউনিয়ন শাখার সম্মেলন চলছিল। এ সময় দলটির বেশ কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয় ও এর সামনে অবস্থান করছিলেন। তাঁদের ভিড়ে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। বিএনপির নেতা-কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কিছু যুবকও বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে স্থানীয় লোকজন জানান। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে।
এ সময় বিএনপির কার্যালয়ে আমানউল্লাহসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে পুলিশ ঘিরে রাখে। সংঘর্ষ থামার পর রাত সোয়া আটটার দিকে আমানউল্লাহ পুলিশি প্রহরায় বের হয়ে আসেন।
টেলিফোনে জানতে চাইলে আমানউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিকেলে সম্মেলন শুরু করি। আমাদের কর্মসূচি ছিল পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। হঠাত্ করেই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা প্রচুর গুলি ছোড়ে। এতে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়।’ এ ঘটনায় আমানউল্লাহ নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানান।
বিএনপির কেরানীগঞ্জ মডেল থানা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ মো. মহিউদ্দীন অভিযোগ করেন, পুলিশের হামলায় তাঁদের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম, আরমান, শ্রমিক দলের নেতা বাবু, যুবদলের আনোয়ার ও মহিলা দলের রওশন আরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। পুলিশ হামলা চালায়নি। সম্মেলনে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে গেলে তারা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশ কয়েকটি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
ওসি জানান, আমানউল্লাহর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ তাঁকে ঘিরে রেখেছিল। তিনি দাবি করেন, এ সময় পুলিশের ৮-১০ জন সদস্য আহত হন। বিএনপির কর্মীরা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
এদিকে সংঘর্ষ থামার পর পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ ৪০ থেকে ৪৫ জনকে আটক করে। বিএনপি অভিযোগ করে, পুলিশ তাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।
রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, কেরানীগঞ্জে বিএনপির সম্মেলনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন যৌথভাবে হামলা করে দলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। তিনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অবিলম্বে এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের প্রধান অতিথি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানকে পুলিশ অবরোধ করে রাখে।
আমানউল্লাহ অভিযোগ করেন, পুলিশ অতর্কিতে সম্মেলনে হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন।
পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সম্মেলনে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেলে কেরানীগঞ্জের শিকারীটোলা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির শাক্তা ইউনিয়ন শাখার সম্মেলন চলছিল। এ সময় দলটির বেশ কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয় ও এর সামনে অবস্থান করছিলেন। তাঁদের ভিড়ে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। বিএনপির নেতা-কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কিছু যুবকও বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে স্থানীয় লোকজন জানান। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে।
এ সময় বিএনপির কার্যালয়ে আমানউল্লাহসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে পুলিশ ঘিরে রাখে। সংঘর্ষ থামার পর রাত সোয়া আটটার দিকে আমানউল্লাহ পুলিশি প্রহরায় বের হয়ে আসেন।
টেলিফোনে জানতে চাইলে আমানউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিকেলে সম্মেলন শুরু করি। আমাদের কর্মসূচি ছিল পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। হঠাত্ করেই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা প্রচুর গুলি ছোড়ে। এতে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়।’ এ ঘটনায় আমানউল্লাহ নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানান।
বিএনপির কেরানীগঞ্জ মডেল থানা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ মো. মহিউদ্দীন অভিযোগ করেন, পুলিশের হামলায় তাঁদের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম, আরমান, শ্রমিক দলের নেতা বাবু, যুবদলের আনোয়ার ও মহিলা দলের রওশন আরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। পুলিশ হামলা চালায়নি। সম্মেলনে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে গেলে তারা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশ কয়েকটি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
ওসি জানান, আমানউল্লাহর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ তাঁকে ঘিরে রেখেছিল। তিনি দাবি করেন, এ সময় পুলিশের ৮-১০ জন সদস্য আহত হন। বিএনপির কর্মীরা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
এদিকে সংঘর্ষ থামার পর পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ ৪০ থেকে ৪৫ জনকে আটক করে। বিএনপি অভিযোগ করে, পুলিশ তাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।
রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, কেরানীগঞ্জে বিএনপির সম্মেলনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন যৌথভাবে হামলা করে দলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। তিনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অবিলম্বে এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।


11:38 AM
Pedia For Bangladesh
0 comments:
Post a Comment
Thanks For Comment Pediabd Group Web Site. Every Day update News from get PediaBD News. And Update Picture Update All Web Site Visit http://www.yahoobest.com/ or
http://www.pediabd.com/