উইকেট পাওয়ার পর বোলার রাজ্জাকের সঙ্গে অধিনায়ক সাকিবের উদ্যাপন। বোলিংয়ের সময় এমন ছবি খুব কমই এসেছিল বাংলাদেশের জন্য
ছবি: প্রথম আলো
দেশে কবে ফিরবেন এখনো ঠিক হয়নি। বিসিবির সঙ্গে লেনদেন বাকি। সাংসারিক গোছগাছও করতে হবে। সব সেরে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে ফিরতে এ মাসের ২০-২২ তারিখ। তবে যখনই বাংলাদেশ ছাড়বেন, জেমি সিডন্সের সঙ্গী হবে সাফল্য। সঙ্গী হবে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের স্বাক্ষর করা একটা ব্যাট। কাল ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এই ভালোবাসার উপহার। একই উপহার পেয়েছেন বিদায়ী ফিল্ডিং কোচ জুলিয়েন ফাউন্টেনও।
বিদায় সব সময়ই বেদনার। প্রায় চার বছরের সঙ্গী সিডন্সকে বিদায় দিতে গিয়েও বাষ্পরুদ্ধ হলো সাকিব-তামিমদের কণ্ঠ। ভিজে উঠল চোখ। ড্রেসিংরুমে বিদায়ী কোচকে দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালেন সাকিব-তামিম-মাশরাফি-শাহরিয়ার। কোচ বললেন, না পাওয়ার চেয়ে এই দলটার কাছ থেকে পেয়েছেনই বেশি। বিশ্বকাপে ৫৮ আর ৭৮-এর জ্বালা তিনি ভুলে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচের ২৯৫-এ। বিদায়ী উপহার হিসেবে এই ইনিংসটারও প্রশংসা করলেন ২০০৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়া সিডন্স।
কোচ হিসেবে জেমি সিডন্স সব সময়ই ছিলেন ক্রিকেটারদের পাশে। বিশ্বকাপে ৫৮-৭৮-এর লজ্জার পরও ক্রিকেটারদের সবার আগে সাহস দেওয়া লোকটির নাম জেমি সিডন্স। বিদায়ের দিনেও বলে গেলেন, ‘আমার হাতে কোনো সাঙ্গাকারা-পন্টিং ছিল না। এই দলের খেলোয়াড়েরা সবাই এখনো বয়সে ছোট। ২২-২৩ বছর বয়স হবে। তাদের আরও সময় দিতে হবে। নির্দয়ভাবে নেতিবাচক সমালোচনা না করে এই দলটার পাশে থাকতে হবে।’
বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি সিডন্স এতটাই ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন যে, মন থেকেই চেয়েছিলেন এই দেশে আরও কয়টা দিন থেকে যেতে। বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে শেষ দিকে এসে একদিন এই প্রতিবেদকের কাছে বলেছিলেন সেই আবেগের কথা, ‘আমি বাংলাদেশে থাকতে চাই। আমার স্ত্রী-সন্তানেরা এখানে মানিয়ে নিয়েছে। আমিও এখানে তাদের প্রচুর সময় দিতে পারছি। যেখানেই যাই না কেন, সংসার থেকে বাইরে বাইরেই বেশি থাকতে হবে। আমি ওই জীবনটা উপভোগ করি না।’
সেই জেমি সিডন্সও চলে যাচ্ছেন। চলে যাচ্ছেন কারণ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মনে করছে, এটাই পরিবর্তনের সময়। হয়তো তাই। এরপর হয়তো আবার কোনো সিডন্স আসবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাফল্য-ব্যর্থতার সঙ্গী হয়ে একসময় তিনিও চলে যাবেন সময়ের দাবি মেটাতে। যাওয়ার বেলায় অস্ট্রেলিয়ান কোচ সিডন্সের সুখস্মৃতি হচ্ছে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০তে সিরিজ হারানো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি জয়। বাংলাদেশ দলে রেখে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব-তামিমের কথাও বললেন আলাদা করে, ‘আমি খুব খুশি যে বাংলাদেশ দলে সাকিব-তামিমের মতো দুজন বড় ক্রিকেটার রেখে যেতে পারছি। তবে বাংলাদেশের এর চেয়ে ভালো ক্রিকেটার প্রয়োজন।’
এখন পর্যন্ত তেমন কোথাও থেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব আসেনি। দেশে ফিরে আপাতত তাই অবসরই কাটাবেন সিডন্স। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছেন বিদায়ী কোচের, ‘সব সময়ই তাঁর চিন্তা ছিল আমাদের নিয়ে। তার পরও তিনি হয়তো চলে যাবেন...ক্রিকেটে এটাই নিয়ম। তাঁর কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। ভবিষ্যতের পথে এসব আমাদের কাজে লাগবে। আমরা তাঁর সাফল্য কামনা করি।’ সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে না নামলেও শেষ ম্যাচে কোচকে একটা ভালো কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছা মনে মনে সবারই ছিল বলে জানিয়েছেন সাকিব, ‘সবার ভেতরই ইচ্ছাটা ছিল। এই ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করতে পারলে ভালো হয়। শুরুটা খারাপ করলেও আমার মনে হয়, শেষটা আমরা ভালোভাবে করতে পেরেছি।’
সিডন্সের মতো কাল বিদায় ঘটেছে আরও একজনের। ১৯৯৮ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে থাকা স্টিভ বার্নার্ডেরও কাল শেষ ম্যাচ ছিল ম্যানেজার হিসেবে। এত লম্বা সময় ধরে বিশ্বের অন্যতম সেরা দলটির সঙ্গে থেকে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন বার্নার্ড। বিদায়বেলায় নতুন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের কাছ থেকে ধন্যবাদ পেয়েছেন ম্যানেজার।
ক্লার্কের কথায় প্রশংসা ছিল বাংলাদেশ দলের জন্যও। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসা ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘আমরা কখনোই ভাবিনি বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়তে পারবে না। বিশেষ করে এই কন্ডিশনে তারা খুবই ভালো দল।’
বিদায়ী ম্যাচে এটাও বোধ হয় জেমি সিডন্সের একটা অর্জন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান, সেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক তাঁর রেখে যাওয়া দলটাকে দিলেন তাদের প্রাপ্য সম্মান।
দেশে কবে ফিরবেন এখনো ঠিক হয়নি। বিসিবির সঙ্গে লেনদেন বাকি। সাংসারিক গোছগাছও করতে হবে। সব সেরে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে ফিরতে এ মাসের ২০-২২ তারিখ। তবে যখনই বাংলাদেশ ছাড়বেন, জেমি সিডন্সের সঙ্গী হবে সাফল্য। সঙ্গী হবে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের স্বাক্ষর করা একটা ব্যাট। কাল ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এই ভালোবাসার উপহার। একই উপহার পেয়েছেন বিদায়ী ফিল্ডিং কোচ জুলিয়েন ফাউন্টেনও।
বিদায় সব সময়ই বেদনার। প্রায় চার বছরের সঙ্গী সিডন্সকে বিদায় দিতে গিয়েও বাষ্পরুদ্ধ হলো সাকিব-তামিমদের কণ্ঠ। ভিজে উঠল চোখ। ড্রেসিংরুমে বিদায়ী কোচকে দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালেন সাকিব-তামিম-মাশরাফি-শাহরিয়ার। কোচ বললেন, না পাওয়ার চেয়ে এই দলটার কাছ থেকে পেয়েছেনই বেশি। বিশ্বকাপে ৫৮ আর ৭৮-এর জ্বালা তিনি ভুলে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচের ২৯৫-এ। বিদায়ী উপহার হিসেবে এই ইনিংসটারও প্রশংসা করলেন ২০০৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়া সিডন্স।
কোচ হিসেবে জেমি সিডন্স সব সময়ই ছিলেন ক্রিকেটারদের পাশে। বিশ্বকাপে ৫৮-৭৮-এর লজ্জার পরও ক্রিকেটারদের সবার আগে সাহস দেওয়া লোকটির নাম জেমি সিডন্স। বিদায়ের দিনেও বলে গেলেন, ‘আমার হাতে কোনো সাঙ্গাকারা-পন্টিং ছিল না। এই দলের খেলোয়াড়েরা সবাই এখনো বয়সে ছোট। ২২-২৩ বছর বয়স হবে। তাদের আরও সময় দিতে হবে। নির্দয়ভাবে নেতিবাচক সমালোচনা না করে এই দলটার পাশে থাকতে হবে।’
বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি সিডন্স এতটাই ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন যে, মন থেকেই চেয়েছিলেন এই দেশে আরও কয়টা দিন থেকে যেতে। বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে শেষ দিকে এসে একদিন এই প্রতিবেদকের কাছে বলেছিলেন সেই আবেগের কথা, ‘আমি বাংলাদেশে থাকতে চাই। আমার স্ত্রী-সন্তানেরা এখানে মানিয়ে নিয়েছে। আমিও এখানে তাদের প্রচুর সময় দিতে পারছি। যেখানেই যাই না কেন, সংসার থেকে বাইরে বাইরেই বেশি থাকতে হবে। আমি ওই জীবনটা উপভোগ করি না।’
সেই জেমি সিডন্সও চলে যাচ্ছেন। চলে যাচ্ছেন কারণ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মনে করছে, এটাই পরিবর্তনের সময়। হয়তো তাই। এরপর হয়তো আবার কোনো সিডন্স আসবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাফল্য-ব্যর্থতার সঙ্গী হয়ে একসময় তিনিও চলে যাবেন সময়ের দাবি মেটাতে। যাওয়ার বেলায় অস্ট্রেলিয়ান কোচ সিডন্সের সুখস্মৃতি হচ্ছে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০তে সিরিজ হারানো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি জয়। বাংলাদেশ দলে রেখে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব-তামিমের কথাও বললেন আলাদা করে, ‘আমি খুব খুশি যে বাংলাদেশ দলে সাকিব-তামিমের মতো দুজন বড় ক্রিকেটার রেখে যেতে পারছি। তবে বাংলাদেশের এর চেয়ে ভালো ক্রিকেটার প্রয়োজন।’
এখন পর্যন্ত তেমন কোথাও থেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব আসেনি। দেশে ফিরে আপাতত তাই অবসরই কাটাবেন সিডন্স। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছেন বিদায়ী কোচের, ‘সব সময়ই তাঁর চিন্তা ছিল আমাদের নিয়ে। তার পরও তিনি হয়তো চলে যাবেন...ক্রিকেটে এটাই নিয়ম। তাঁর কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। ভবিষ্যতের পথে এসব আমাদের কাজে লাগবে। আমরা তাঁর সাফল্য কামনা করি।’ সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে না নামলেও শেষ ম্যাচে কোচকে একটা ভালো কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছা মনে মনে সবারই ছিল বলে জানিয়েছেন সাকিব, ‘সবার ভেতরই ইচ্ছাটা ছিল। এই ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করতে পারলে ভালো হয়। শুরুটা খারাপ করলেও আমার মনে হয়, শেষটা আমরা ভালোভাবে করতে পেরেছি।’
সিডন্সের মতো কাল বিদায় ঘটেছে আরও একজনের। ১৯৯৮ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে থাকা স্টিভ বার্নার্ডেরও কাল শেষ ম্যাচ ছিল ম্যানেজার হিসেবে। এত লম্বা সময় ধরে বিশ্বের অন্যতম সেরা দলটির সঙ্গে থেকে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন বার্নার্ড। বিদায়বেলায় নতুন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের কাছ থেকে ধন্যবাদ পেয়েছেন ম্যানেজার।
ক্লার্কের কথায় প্রশংসা ছিল বাংলাদেশ দলের জন্যও। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসা ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘আমরা কখনোই ভাবিনি বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়তে পারবে না। বিশেষ করে এই কন্ডিশনে তারা খুবই ভালো দল।’
বিদায়ী ম্যাচে এটাও বোধ হয় জেমি সিডন্সের একটা অর্জন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান, সেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক তাঁর রেখে যাওয়া দলটাকে দিলেন তাদের প্রাপ্য সম্মান।
পাঠকের মন্তব্য
MD. Nazmul Hasan
২০১১.০৪.১৪ ০৯:৫২
সিডন্সকে তো আরও কিছু দিন রাখাযেত.... ওর সময়েইতো বাংলাদেশের বড় অর্জন গুলো এসেছে
odhom
২০১১.০৪.১৪ ০৯:৫৯
লোকটা ভালো ছিলো । রেখে দিলেও দেয়া যেতো ।
Kaalponeek
২০১১.০৪.১৪ ১০:১৫
আমাদের সিডন্সকে রেখে দেয়া উচিত, কারণ মনে রাখতে হবে, তার সময়েই বাংলাদেশ যা একটু আর্ন্তজাতিক মানের ক্রিকেট খেলেছে।
md. sumon rana
২০১১.০৪.১৪ ১১:১১
sir aponar proti rohilo bangladesher shokol manuser onek onek balobasa.
Shihab Shaheen
২০১১.০৪.১৪ ১১:২৮
বাংলােদেশর িক্রেকট ইতহােসর সবেচেয় সফল অধ্যায় েশষ হল......
Mohammad Solaiman
২০১১.০৪.১৪ ১২:২১
মেয়াদ শেষ হলেই কোচ বদলাতে হবে, এই ধারনার সাথে আমি একমত নই। আমার মতে জেমি সিডন্স এ যাবত কালের মধ্যে বাংলাদেশের সেরা কোচ। মিনমিনে আর আত্ববিশ্বাসহীন একটি দলকে তিনি গত দুই বছর ধরে বিশ্বে লড়াকু একটি দল হিসেবে চিনিয়েছেন। বি সি বি' র উচিত তাদের নোংরা রাজনীতি ফেলে জেমিকে আবার স্বপদে বহাল রাখা। খেলোয়াড়দেরও উচিত বোর্ডকে এ বিষয়ে চাপ দেয়া। অবাক বিষয়, আমার হাতে ভালো বিকল্প নেই তবুও আমি কোচ বদলাবোই। তাহলে মুল্যায়ন বলে কি কিছুই নেই?
News Source http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-14/news/146656
0 comments:
Post a Comment
Thanks For Comment Pediabd Group Web Site. Every Day update News from get PediaBD News. And Update Picture Update All Web Site Visit http://www.yahoobest.com/ or
http://www.pediabd.com/