ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে চলছে বৈশাখী আয়োজনের প্রস্তুতি
ছবি: কবির হোসেন
এখন তাঁরা মহা ব্যস্ত। দম ফেলার ফুরসত নেই। কত কাজ বাকি আছে। যে যেভাবে পারছেন সাহায্য করছেন। রং-তুলি, কাগজ, সরা নিয়ে বসে পড়ছেন। দুই দিন আগে চারুকলায় গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ল। পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে। এর পুরো আয়োজনটা চারুকলার শিক্ষার্থীরা করে থাকেন। গেট দিয়ে ঢুকেই দেখা গেল, বড় টেবিলে রঙের ছড়াছড়ি। চারপাশে তাঁরা নানাভাবে সরা আঁকছেন। তাতে ফুটিয়ে তুলছেন পাখি, পেঁচা, ফুল, গ্রামবাংলার দৃশ্য, দেশীয় নানা মোটিভ। আপনমনে এঁকে চলেছেন তাঁরা। তুলির আঁচড় দিয়ে রঙিন করে তুলছেন মাটির সরা। পাশে কেউ আবার বিক্রি করছেন। কেননা এসব বিক্রি করে অর্জিত আয় থেকেই মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। অনেকে নিজের আঁকা ছবিও বিক্রির জন্য রেখেছেন। সারি সারি করে সাজানো নানা নকশার সরা। আছে হরেক রকমের পুতুল। কথা হয় গ্রাফিকস ডিজাইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফা হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে সরা আঁকতাম। এখন মুখোশ তৈরি করি। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই এসবের সঙ্গে জড়িত। এখানে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। মনের মাধুরী মিশিয়ে রং করা যায়। যার যা ইচ্ছা নকশা করে। আরেকটি রুমে তখন চলছে মুখোশ তৈরির প্রক্রিয়া।
ছেলেমেয়েরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আয়োজনের জন্য কাজ করছেন। এখানে কেউ কাগজ দিয়ে মূল মুখোশ তৈরি করে দিচ্ছেন, কেউ রং মিশিয়ে দিচ্ছেন, পানি এনে দিচ্ছেন। দ্রুত হাত চালাচ্ছেন সবাই। আর যে সময় নেই! গ্রাফিকস ডিজাইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী কান্তা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় কাজ করি। খুবই ভালো লাগে। আর মুখোশ তৈরি করতেই বেশি পছন্দ করি।’ কোন কাজ করতে আগ্রহী, সেটি বিবেচনা করেন শিক্ষার্থীরা। ক্রাফট বিভাগের একজন শিক্ষার্থীও তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেন। তিনি বলেন, ‘এটি আসলে সবার উৎসব। চারুকলার যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থী কাজে অংশ নিতে পারে।’ যে যার মতো সহযোগিতা করেন। সারা বছর শিক্ষার্থীরা এর জন্য অপেক্ষা করেন। তাই তো পয়লা বৈশাখের আগের রাত পর্যন্ত এই মহাযজ্ঞ চলবে।
News Source http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-13/news/146271
এখন তাঁরা মহা ব্যস্ত। দম ফেলার ফুরসত নেই। কত কাজ বাকি আছে। যে যেভাবে পারছেন সাহায্য করছেন। রং-তুলি, কাগজ, সরা নিয়ে বসে পড়ছেন। দুই দিন আগে চারুকলায় গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ল। পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে। এর পুরো আয়োজনটা চারুকলার শিক্ষার্থীরা করে থাকেন। গেট দিয়ে ঢুকেই দেখা গেল, বড় টেবিলে রঙের ছড়াছড়ি। চারপাশে তাঁরা নানাভাবে সরা আঁকছেন। তাতে ফুটিয়ে তুলছেন পাখি, পেঁচা, ফুল, গ্রামবাংলার দৃশ্য, দেশীয় নানা মোটিভ। আপনমনে এঁকে চলেছেন তাঁরা। তুলির আঁচড় দিয়ে রঙিন করে তুলছেন মাটির সরা। পাশে কেউ আবার বিক্রি করছেন। কেননা এসব বিক্রি করে অর্জিত আয় থেকেই মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। অনেকে নিজের আঁকা ছবিও বিক্রির জন্য রেখেছেন। সারি সারি করে সাজানো নানা নকশার সরা। আছে হরেক রকমের পুতুল। কথা হয় গ্রাফিকস ডিজাইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফা হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে সরা আঁকতাম। এখন মুখোশ তৈরি করি। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই এসবের সঙ্গে জড়িত। এখানে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। মনের মাধুরী মিশিয়ে রং করা যায়। যার যা ইচ্ছা নকশা করে। আরেকটি রুমে তখন চলছে মুখোশ তৈরির প্রক্রিয়া।
ছেলেমেয়েরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আয়োজনের জন্য কাজ করছেন। এখানে কেউ কাগজ দিয়ে মূল মুখোশ তৈরি করে দিচ্ছেন, কেউ রং মিশিয়ে দিচ্ছেন, পানি এনে দিচ্ছেন। দ্রুত হাত চালাচ্ছেন সবাই। আর যে সময় নেই! গ্রাফিকস ডিজাইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী কান্তা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় কাজ করি। খুবই ভালো লাগে। আর মুখোশ তৈরি করতেই বেশি পছন্দ করি।’ কোন কাজ করতে আগ্রহী, সেটি বিবেচনা করেন শিক্ষার্থীরা। ক্রাফট বিভাগের একজন শিক্ষার্থীও তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেন। তিনি বলেন, ‘এটি আসলে সবার উৎসব। চারুকলার যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থী কাজে অংশ নিতে পারে।’ যে যার মতো সহযোগিতা করেন। সারা বছর শিক্ষার্থীরা এর জন্য অপেক্ষা করেন। তাই তো পয়লা বৈশাখের আগের রাত পর্যন্ত এই মহাযজ্ঞ চলবে।
News Source http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-13/news/146271
0 comments:
Post a Comment
Thanks For Comment Pediabd Group Web Site. Every Day update News from get PediaBD News. And Update Picture Update All Web Site Visit http://www.yahoobest.com/ or
http://www.pediabd.com/