গানে গানে সুরের ধারার বর্ষবরণ ও বিদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাঠের এক পাশে দোতলা প্রাসাদসদৃশ মঞ্চ। দুই পাশে দুটি বড় প্রজেক্টর। চারদিকে রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু প্রতিকৃতি। গতকাল বুধবার বর্ষবিদায় ও বরণ উপলক্ষে আয়োজিত সুরের ধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘রবীন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্রনাথ’-এর জন্য এভাবেই সাজানো হয়েছিল লালমাটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ।
রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মবর্ষে তাঁকে নিবেদিত অনুষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতা করে মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি।
পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে। সন্ধ্যায় ‘তোমার আনন্দ ঐ এলো দ্বারে’ গানটি গাইতে গাইতে সুরের ধারার শিল্পীরা মঞ্চে ওঠেন। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের কর্ণধার রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
সমবেত কণ্ঠের ‘ওহে দয়াময়’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় গানের পালা। সুরের ধারার শিল্পীরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন তপন মাহমুদ, পাপিয়া সারোয়ার, সাদি মহম্মদ, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, মিতা হক, লিলি ইসলাম, বুলবুল ইসলাম, মহিউজ্জামান চৌধুরী, লাইসা আহমেদ, অদিতি মহসিন, শর্মিলী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সুরের ধারার সাবেক শিক্ষার্থীরা এবং ওপার বাংলার প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী প্রমিতা মল্লিক সংগীত পরিবেশন করেন। শিল্পীরা ‘চরণধ্বনি শুনি তব নাথ’, ‘কতবার ভেবেছিনু’, ‘অন্তর মম বিকশিত কর’, ‘আজ খেলা ভাঙ্গার খেলা’, ‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বাল’, ‘এবার তোর মরা গাঙ্গে বান ডেকেছে’—এসব গান গেয়ে শোনান।
গান ছাড়া সুরের ধারার শিশু শিক্ষার্থীরা মঞ্চস্থ করে গীতিনাট্য কাল মৃগয়া। জুতা আবিষ্কার নাটক পরিবেশন করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে সুরের ধারার মিউজিক ফর ডেভেলপমেন্টের শিক্ষার্থীরা।
নতুন বছরকে আহ্বান জানিয়ে সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। সুরের ধারার সব সদস্যকে নিয়ে এটি পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
চট্টগ্রামে বর্ষবিদায়
নিজস্ব প্রতিবেদকচট্টগ্রামে পুরোনো বর্ষকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণের অনুষ্ঠান ছিল ডিসি হিলে। সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদ আয়োজন করে এই অনুষ্ঠানের।
রক্তকরবীর শিল্পীদের উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর নজরুলসংগীত শিল্পী সংস্থা, সংগীত পরিষদ, বংশী সংগীত বিদ্যাপীঠ দলীয় সংগীত পরিবেশন করে। নৃত্য পরিবেশন করে প্রাপন একাডেমি, নটরাজ নৃত্যাঙ্গন, অর্ণ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, ছোটদের সংগীত একাডেমি, নৃত্য রঙ একাডেমিসহ আরও অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী আবদুল গফুর হালি, কবি ও সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত এবং বংশীবাদক আজিজুল ইসলামকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
যন্ত্রসংগীতে বর্ষবিদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
বেহালায় সুর তোলেন সুনীল দাস। তাঁকে তবলায় সহযোগিতা করেন তুলসী সাহা। গতকাল সন্ধ্যায় ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বর্ষবিদায় উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান এভাবেই শুরু হয়। এরপর এবাদুর হক সেতার বাজান। তাঁর সঙ্গে তবলা বাজান বিশ্বজিৎ নট্ট। সবশেষে দোতারা, ঢোল ও বাঁশি-সহযোগে অন্য রকম এক সুর তোলেন অরূপ শীল, হাসান রহমান ও মুহাম্মদ ইব্রাহীম। যন্ত্রসংগীতের আগে ছিল সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। আলোচনায় অংশ নেন মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ ও গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মানজার চৌধুরী।
আজ একই স্থানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল পাঁচটায়। এতে লোকসংগীত পরিবেশন করবে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা, দৃষ্টি ও ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সংগীত একাডেমির শিল্পীরা।জাদুঘরে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় জাদুঘরের দক্ষিণ প্রাঙ্গণে বেশ কয়েকটি কলা আর ফুলগাছ ঘেরা একটি কুঁড়েঘরের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে ফটক। ফটক পেরিয়ে সামনে যেতেই চোখে পড়ে বেশ কিছু স্টল। এসব স্টলে প্রদর্শিত ও বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের নানা অঞ্চলের পিঠা এবং বাঁশ, বেত, পাট, মাটি, কাগজের তৈরি নানা কারুশিল্পসামগ্রী। পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দুই দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
বুধবার মেলার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন ও ভারপ্রাপ্ত সংস্কৃতিসচিব সুরাইয়া বেগম। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘরের প্রযত্ন বিভাগের সভাপতি এম আজিজুর রহমান।
চ্যানেলে চ্যানেলে বর্ষবরণ
বিনোদন প্রতিবেদক
আজ পয়লা বৈশাখ। শুরু হলো নতুন বছর, ১৪১৮ সন। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দেশের সব কটি টিভি চ্যানেল আজ তাদের অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে নানা রঙে। সেসব থেকে বাছাই কিছু তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।
এটিএন বাংলা
এক নতুন দম্পতির গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে বৈশাখের ‘পাঁচফোড়ন’ অনুষ্ঠানটি। নতুন দম্পতি মীর সাব্বির ও ঈশিতা। বৈশাখের প্রথম দিন তাঁদের বাসায় অনেক আত্মীয়স্বজন বেড়াতে আসেন। ঘটে নানা মজার ঘটনা। অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন রবি চৌধুরী ও কণা। থাকছে নাচ ও ব্যঙ্গাত্মক নাট্যাংশ। দুপুরে থাকছে টেলিছবি আকাশ বন্ধু। এটি লিখেছেন মাসুম রেজা এবং পরিচালনা করেছেন সালাহউদ্দিন লাভলু। এতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, নাফিজা প্রমুখ। রাতে দেখানো হবে নাটক অশুভ পরিণয়। এটি লিখেছেন বৃন্দাবন দাস এবং পরিচালনা করেছেন ফজলুর রহমান। এখানে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, মীর সাব্বির, নাদিয়া, শাহরিয়ার শুভ প্রমুখ।
চ্যানেল আই
চ্যানেল আই কার্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘রবি-চ্যানেল আই বৈশাখী মেলা’। পুরো আয়োজনটি দেখানো হবে সরাসরি। হুমায়ূন আহমেদের লেখা নাটক স্বপ্ন এবং স্বপ্নভঙ্গ দেখানো হবে সন্ধ্যায়। পরিচালনা করেছেন শাওন। টেলিছবি শাড়িতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, কুসুম শিকদার প্রমুখ। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মাসুদ সেজান। রাতে থাকছে শাইখ সিরাজের পরিচালনা ও উপস্থাপনায় প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘জীবন চলে কাঠের ঘোড়ায়’।
একুশে টিভি
আজ একুশে টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ‘১২তে পা’ অনুষ্ঠানটি স্টুডিও থেকে সরাসরি দেখানো হবে। থাকছে নাটক ছবির দেশে কবিতার দেশে। এটি লিখেছেন মীর সাব্বির এবং পরিচালনা করেছেন দীপু হাজরা।
এনটিভি
সকালে ‘রুচি বৈশাখী উৎসব’ কনসার্ট পাবনা থেকে দেখানো হবে সরাসরি। থাকছে নাটক ছায়াচোখ জলছাপ। এটি লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এতে অভিনয় করেছেন অপি করিম ও পার্থ বড়ুয়া। এয়ারটেল নিবেদিত টেলিছবি ভালোবাসি তাই। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহিন। এতে অভিনয় করেছেন আলী যাকের, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজি, তিশা, মীম, সজল, হিল্লোল প্রমুখ। ‘বৈশাখে কবির সঙ্গে’ অনুষ্ঠানে স্টুডিওর সেটে কবির সঙ্গে থাকবেন আবৃত্তিকার। কবিদের মধ্যে আছেন সৈয়দ শামসুল হক, আসাদ চৌধুরী, ফরহাদ মজহার, নির্মলেন্দু গুণ, ব্রাত্য রাইসু, মারজুক রাসেল এবং আবৃত্তিকাররা হলেন প্রজ্ঞা লাবণী, মুনীরা ইউসুফ মেমী, ফেরদৌসী আবেদিন, মিথুন আশরাফী, সাকিলা মতিন, তারানুম কাকলী। এটি পরিচালনা করেছেন আলফ্রেড খোকন।
দেশ টিভি
নাটক আমরা একটি ভোরের জন্য অপেক্ষা করছি। নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন আবদুল্লাহ্ রানা। এতে অভিনয় করেছেন সজল, আজরা, আবদুল্লাহ রানা প্রমুখ। মাসুম রেজার লেখা ও গিয়াসউদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় সহোদরা নাটকটি দেখানো হবে রাতে। এখানে অভিনয় করেছেন আহসানুল হক মিনু, চঞ্চল চৌধুরী, তারিন ও আজিজুল হাকিম।
আরটিভি
আলভী আহমেদের লেখা ও পরিচালনায় নাটক এপার ওপার। এতে অভিনয় করেছেন সজল ও সারিকা। ‘বসুধা তোমার জন্য আমার এ গান’ অনুষ্ঠানের শিল্পীরা হলেন বাপ্পা, কণা ও এলিটা।
বাংলাভিশন
থাকছে নাটক আরমান ভাইয়ের গাদি সাইত। এতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, তিশা প্রমুখ। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন সাগর জাহান। ‘ওয়ালটন গানে গানে বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠানের শিল্পীরা হলেন রাজীব, বিউটি, সালমা, রিংকু ও রোকসানা।
বৈশাখী টিভি
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আয়োজিত কনসার্ট সরাসরি দেখানো হবে সন্ধ্যা থেকে।
করণ জোহরের কুসংস্কার
কলকাতা প্রতিনিধি
ছবির শুটিং করতে গিয়ে আহত হলেন বলিউড তারকা হূতিক রোশন। জানা গেছে, সম্প্রতি অগ্নিপথ ছবির শুটিংয়ে একটি নারকেল ভাঙতে গিয়ে তিনি হাতে গুরুতর আঘাত পান। রক্তক্ষরণ হয়। এতে অবশ্য হূতিকের শুটিং থেমে থাকেনি। চিকিৎসকদের মতে, হূতিক এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
এ ঘটনার পর প্রযোজক করণ জোহর বলেন, ‘হূতিক ভালো আছেন। আমি খুশি। এবার আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, অগ্নিপথ হিট করবেই।’
জানা গেছে, করণ জোহরের বিশ্বাস, যে ছবির শুটিংয়ে তারকারা আহত হন, সেই ছবি নাকি সুপারহিট হয়!
নাটকপাড়ায় চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটক সরণিতে তখন সন্ধ্যা নেমেছে। রাস্তায় যানজট, শাড়ির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়; এই কর্মব্যস্ততার মধ্যে হঠাৎ করে জেগে উঠল মহিলা সমিতি ভবন। বেজে উঠল ঢোল। নাট্যকর্মীদের হর্ষধ্বনি। আলোকিত হলো মঙ্গলপ্রদীপের মিষ্টি আলোয়। চলে যাচ্ছে বাংলা ১৪১৭ সন, তাকে বিদায় জানাতেই এই আয়োজন।
পয়লা বৈশাখ নিয়ে ব্যাপক আয়োজনের পাশাপাশি বুধবার রাজধানীতে চৈত্রসংক্রান্তির উৎসবও ছিল জমজমাট। এসো বর্ষবিদায় ও বরণের মিলনমেলায়—এই স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সন্ধ্যায় চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে নাটক সরণির মহিলা সমিতি মিলনায়তনে এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিজনেরা। গাঁদা ফুলের পাপড়ি ছড়ানো মহিলা সমিতির বারান্দায় তখন নবীন-প্রবীণ সবাই মেতে ছিলেন আনন্দ-উৎসবে। অনেকের হাতে বাদ্যযন্ত্র ছিল, কেউ কেউ নিজের মতো করে গানও গেয়েছেন। গানের সুর আর হর্ষধ্বনিতে মুখর ছিল মহিলা সমিতি প্রাঙ্গণ। অনুষ্ঠানে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষের ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, লিয়াকত আলী, ঝুনা চৌধুরী, আফরোজা বানু প্রমুখ। পরে আবৃত্তি, নৃত্য, বাঁশি, দলীয় নাটকের গান দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
বাংলা একাডেমীর অনুষ্ঠান
বাংলা একাডেমী বাংলা সনকে বিদায় জানাতে এবং নববর্ষ ১৪১৮ সনকে বরণ করে নিতে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বুধবার বিকেলে একাডেমীর নজরুলমঞ্চে আয়োজিত বর্ষবিদায় অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক অজয় রায় এবং কথাসাহিত্যিক আবদুশ শাকুর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর। সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ডি ডি মল্লিকের চিত্রকর্মে বাংলার নিসর্গ
নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্যালারিতে ঢুকতেই চোখে পড়বে একটি গ্রাম। কুঁড়েঘর, ঘরের পাশে স্বচ্ছ জলের পুকুর। পুকুরে গাছের ছায়া। অ্যাক্রিলিকে আঁকা ছবিটি মনে প্রশান্তি জাগায়। আরও আছে ফুল, পাখি, পাহাড় এবং মানুষও। ঐতিহ্যবাহী পরিত্যক্ত স্থাপনার দেয়ালে পরগাছা চিরন্তন বাংলার নিসর্গ ক্যানভাসে মূর্ত হয়েছে।
জলরং, তেলরং, অ্যাক্রিলিক ও মিশ্র মাধ্যমে আঁকা শিল্পী ডি ডি মল্লিকের এমন ২১টি চিত্রকর্ম নিয়ে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের গ্যালারিয়া জুমে গত শুক্রবার শুরু হয়েছে একক প্রদর্শনী। ‘পোয়েট্রি অব দ্য ক্রিয়েটর’ শিরোনামের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম ও তরুণ ঘোষ।
‘পোয়েট্রি অব দ্য ক্রিয়েটর’ শিল্পীর তৃতীয় একক প্রদশনী। এটি চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।
বৈশাখী কনসার্ট
নববর্ষ উপলক্ষে টাপুরটুপুর কাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রবি বৈশাখী লাইভ কনসার্টের আয়োজন করেছে। কনসার্টে অংশগ্রহণকারী শিল্পী ও ব্যান্ড দলগুলো হচ্ছে—ফিডব্যাক, আর্ক, লালন ও মিলা। বিজ্ঞপ্তি।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ দূতাবাসে বৈশাখী উৎসব
কলকাতা প্রতিনিধি
আজ বৃহস্পতিবার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস চত্বরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়িত করা হবে কলকাতার অতিথিদের। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন শিল্পী খুরশীদ আলমসহ বাংলাদেশের অন্যান্য শিল্পী।
News Sours http://www.prothom-alo.com/allnewsdetails/date/2011-04-14/category/57
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাঠের এক পাশে দোতলা প্রাসাদসদৃশ মঞ্চ। দুই পাশে দুটি বড় প্রজেক্টর। চারদিকে রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু প্রতিকৃতি। গতকাল বুধবার বর্ষবিদায় ও বরণ উপলক্ষে আয়োজিত সুরের ধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘রবীন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্রনাথ’-এর জন্য এভাবেই সাজানো হয়েছিল লালমাটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ।
রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মবর্ষে তাঁকে নিবেদিত অনুষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতা করে মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি।
পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে। সন্ধ্যায় ‘তোমার আনন্দ ঐ এলো দ্বারে’ গানটি গাইতে গাইতে সুরের ধারার শিল্পীরা মঞ্চে ওঠেন। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের কর্ণধার রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
সমবেত কণ্ঠের ‘ওহে দয়াময়’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় গানের পালা। সুরের ধারার শিল্পীরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন তপন মাহমুদ, পাপিয়া সারোয়ার, সাদি মহম্মদ, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, মিতা হক, লিলি ইসলাম, বুলবুল ইসলাম, মহিউজ্জামান চৌধুরী, লাইসা আহমেদ, অদিতি মহসিন, শর্মিলী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সুরের ধারার সাবেক শিক্ষার্থীরা এবং ওপার বাংলার প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী প্রমিতা মল্লিক সংগীত পরিবেশন করেন। শিল্পীরা ‘চরণধ্বনি শুনি তব নাথ’, ‘কতবার ভেবেছিনু’, ‘অন্তর মম বিকশিত কর’, ‘আজ খেলা ভাঙ্গার খেলা’, ‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বাল’, ‘এবার তোর মরা গাঙ্গে বান ডেকেছে’—এসব গান গেয়ে শোনান।
গান ছাড়া সুরের ধারার শিশু শিক্ষার্থীরা মঞ্চস্থ করে গীতিনাট্য কাল মৃগয়া। জুতা আবিষ্কার নাটক পরিবেশন করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে সুরের ধারার মিউজিক ফর ডেভেলপমেন্টের শিক্ষার্থীরা।
নতুন বছরকে আহ্বান জানিয়ে সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। সুরের ধারার সব সদস্যকে নিয়ে এটি পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
চট্টগ্রামে বর্ষবিদায়
নিজস্ব প্রতিবেদকচট্টগ্রামে পুরোনো বর্ষকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণের অনুষ্ঠান ছিল ডিসি হিলে। সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদ আয়োজন করে এই অনুষ্ঠানের।
রক্তকরবীর শিল্পীদের উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর নজরুলসংগীত শিল্পী সংস্থা, সংগীত পরিষদ, বংশী সংগীত বিদ্যাপীঠ দলীয় সংগীত পরিবেশন করে। নৃত্য পরিবেশন করে প্রাপন একাডেমি, নটরাজ নৃত্যাঙ্গন, অর্ণ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, ছোটদের সংগীত একাডেমি, নৃত্য রঙ একাডেমিসহ আরও অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী আবদুল গফুর হালি, কবি ও সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত এবং বংশীবাদক আজিজুল ইসলামকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
যন্ত্রসংগীতে বর্ষবিদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
বেহালায় সুর তোলেন সুনীল দাস। তাঁকে তবলায় সহযোগিতা করেন তুলসী সাহা। গতকাল সন্ধ্যায় ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বর্ষবিদায় উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান এভাবেই শুরু হয়। এরপর এবাদুর হক সেতার বাজান। তাঁর সঙ্গে তবলা বাজান বিশ্বজিৎ নট্ট। সবশেষে দোতারা, ঢোল ও বাঁশি-সহযোগে অন্য রকম এক সুর তোলেন অরূপ শীল, হাসান রহমান ও মুহাম্মদ ইব্রাহীম। যন্ত্রসংগীতের আগে ছিল সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। আলোচনায় অংশ নেন মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ ও গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মানজার চৌধুরী।
আজ একই স্থানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল পাঁচটায়। এতে লোকসংগীত পরিবেশন করবে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা, দৃষ্টি ও ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সংগীত একাডেমির শিল্পীরা।জাদুঘরে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় জাদুঘরের দক্ষিণ প্রাঙ্গণে বেশ কয়েকটি কলা আর ফুলগাছ ঘেরা একটি কুঁড়েঘরের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে ফটক। ফটক পেরিয়ে সামনে যেতেই চোখে পড়ে বেশ কিছু স্টল। এসব স্টলে প্রদর্শিত ও বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের নানা অঞ্চলের পিঠা এবং বাঁশ, বেত, পাট, মাটি, কাগজের তৈরি নানা কারুশিল্পসামগ্রী। পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দুই দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
বুধবার মেলার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন ও ভারপ্রাপ্ত সংস্কৃতিসচিব সুরাইয়া বেগম। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘরের প্রযত্ন বিভাগের সভাপতি এম আজিজুর রহমান।
চ্যানেলে চ্যানেলে বর্ষবরণ

বিনোদন প্রতিবেদক
আজ পয়লা বৈশাখ। শুরু হলো নতুন বছর, ১৪১৮ সন। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দেশের সব কটি টিভি চ্যানেল আজ তাদের অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে নানা রঙে। সেসব থেকে বাছাই কিছু তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।
এটিএন বাংলা
এক নতুন দম্পতির গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে বৈশাখের ‘পাঁচফোড়ন’ অনুষ্ঠানটি। নতুন দম্পতি মীর সাব্বির ও ঈশিতা। বৈশাখের প্রথম দিন তাঁদের বাসায় অনেক আত্মীয়স্বজন বেড়াতে আসেন। ঘটে নানা মজার ঘটনা। অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন রবি চৌধুরী ও কণা। থাকছে নাচ ও ব্যঙ্গাত্মক নাট্যাংশ। দুপুরে থাকছে টেলিছবি আকাশ বন্ধু। এটি লিখেছেন মাসুম রেজা এবং পরিচালনা করেছেন সালাহউদ্দিন লাভলু। এতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, নাফিজা প্রমুখ। রাতে দেখানো হবে নাটক অশুভ পরিণয়। এটি লিখেছেন বৃন্দাবন দাস এবং পরিচালনা করেছেন ফজলুর রহমান। এখানে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, মীর সাব্বির, নাদিয়া, শাহরিয়ার শুভ প্রমুখ।
চ্যানেল আই
চ্যানেল আই কার্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘রবি-চ্যানেল আই বৈশাখী মেলা’। পুরো আয়োজনটি দেখানো হবে সরাসরি। হুমায়ূন আহমেদের লেখা নাটক স্বপ্ন এবং স্বপ্নভঙ্গ দেখানো হবে সন্ধ্যায়। পরিচালনা করেছেন শাওন। টেলিছবি শাড়িতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, কুসুম শিকদার প্রমুখ। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মাসুদ সেজান। রাতে থাকছে শাইখ সিরাজের পরিচালনা ও উপস্থাপনায় প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘জীবন চলে কাঠের ঘোড়ায়’।
একুশে টিভি
আজ একুশে টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ‘১২তে পা’ অনুষ্ঠানটি স্টুডিও থেকে সরাসরি দেখানো হবে। থাকছে নাটক ছবির দেশে কবিতার দেশে। এটি লিখেছেন মীর সাব্বির এবং পরিচালনা করেছেন দীপু হাজরা।
এনটিভি
সকালে ‘রুচি বৈশাখী উৎসব’ কনসার্ট পাবনা থেকে দেখানো হবে সরাসরি। থাকছে নাটক ছায়াচোখ জলছাপ। এটি লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এতে অভিনয় করেছেন অপি করিম ও পার্থ বড়ুয়া। এয়ারটেল নিবেদিত টেলিছবি ভালোবাসি তাই। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহিন। এতে অভিনয় করেছেন আলী যাকের, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজি, তিশা, মীম, সজল, হিল্লোল প্রমুখ। ‘বৈশাখে কবির সঙ্গে’ অনুষ্ঠানে স্টুডিওর সেটে কবির সঙ্গে থাকবেন আবৃত্তিকার। কবিদের মধ্যে আছেন সৈয়দ শামসুল হক, আসাদ চৌধুরী, ফরহাদ মজহার, নির্মলেন্দু গুণ, ব্রাত্য রাইসু, মারজুক রাসেল এবং আবৃত্তিকাররা হলেন প্রজ্ঞা লাবণী, মুনীরা ইউসুফ মেমী, ফেরদৌসী আবেদিন, মিথুন আশরাফী, সাকিলা মতিন, তারানুম কাকলী। এটি পরিচালনা করেছেন আলফ্রেড খোকন।
দেশ টিভি
নাটক আমরা একটি ভোরের জন্য অপেক্ষা করছি। নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন আবদুল্লাহ্ রানা। এতে অভিনয় করেছেন সজল, আজরা, আবদুল্লাহ রানা প্রমুখ। মাসুম রেজার লেখা ও গিয়াসউদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় সহোদরা নাটকটি দেখানো হবে রাতে। এখানে অভিনয় করেছেন আহসানুল হক মিনু, চঞ্চল চৌধুরী, তারিন ও আজিজুল হাকিম।
আরটিভি
আলভী আহমেদের লেখা ও পরিচালনায় নাটক এপার ওপার। এতে অভিনয় করেছেন সজল ও সারিকা। ‘বসুধা তোমার জন্য আমার এ গান’ অনুষ্ঠানের শিল্পীরা হলেন বাপ্পা, কণা ও এলিটা।
বাংলাভিশন
থাকছে নাটক আরমান ভাইয়ের গাদি সাইত। এতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, তিশা প্রমুখ। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন সাগর জাহান। ‘ওয়ালটন গানে গানে বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠানের শিল্পীরা হলেন রাজীব, বিউটি, সালমা, রিংকু ও রোকসানা।
বৈশাখী টিভি
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আয়োজিত কনসার্ট সরাসরি দেখানো হবে সন্ধ্যা থেকে।
করণ জোহরের কুসংস্কার
কলকাতা প্রতিনিধি
ছবির শুটিং করতে গিয়ে আহত হলেন বলিউড তারকা হূতিক রোশন। জানা গেছে, সম্প্রতি অগ্নিপথ ছবির শুটিংয়ে একটি নারকেল ভাঙতে গিয়ে তিনি হাতে গুরুতর আঘাত পান। রক্তক্ষরণ হয়। এতে অবশ্য হূতিকের শুটিং থেমে থাকেনি। চিকিৎসকদের মতে, হূতিক এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
এ ঘটনার পর প্রযোজক করণ জোহর বলেন, ‘হূতিক ভালো আছেন। আমি খুশি। এবার আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, অগ্নিপথ হিট করবেই।’
জানা গেছে, করণ জোহরের বিশ্বাস, যে ছবির শুটিংয়ে তারকারা আহত হন, সেই ছবি নাকি সুপারহিট হয়!
নাটকপাড়ায় চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটক সরণিতে তখন সন্ধ্যা নেমেছে। রাস্তায় যানজট, শাড়ির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়; এই কর্মব্যস্ততার মধ্যে হঠাৎ করে জেগে উঠল মহিলা সমিতি ভবন। বেজে উঠল ঢোল। নাট্যকর্মীদের হর্ষধ্বনি। আলোকিত হলো মঙ্গলপ্রদীপের মিষ্টি আলোয়। চলে যাচ্ছে বাংলা ১৪১৭ সন, তাকে বিদায় জানাতেই এই আয়োজন।
পয়লা বৈশাখ নিয়ে ব্যাপক আয়োজনের পাশাপাশি বুধবার রাজধানীতে চৈত্রসংক্রান্তির উৎসবও ছিল জমজমাট। এসো বর্ষবিদায় ও বরণের মিলনমেলায়—এই স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সন্ধ্যায় চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে নাটক সরণির মহিলা সমিতি মিলনায়তনে এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিজনেরা। গাঁদা ফুলের পাপড়ি ছড়ানো মহিলা সমিতির বারান্দায় তখন নবীন-প্রবীণ সবাই মেতে ছিলেন আনন্দ-উৎসবে। অনেকের হাতে বাদ্যযন্ত্র ছিল, কেউ কেউ নিজের মতো করে গানও গেয়েছেন। গানের সুর আর হর্ষধ্বনিতে মুখর ছিল মহিলা সমিতি প্রাঙ্গণ। অনুষ্ঠানে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষের ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, লিয়াকত আলী, ঝুনা চৌধুরী, আফরোজা বানু প্রমুখ। পরে আবৃত্তি, নৃত্য, বাঁশি, দলীয় নাটকের গান দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
বাংলা একাডেমীর অনুষ্ঠান
বাংলা একাডেমী বাংলা সনকে বিদায় জানাতে এবং নববর্ষ ১৪১৮ সনকে বরণ করে নিতে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বুধবার বিকেলে একাডেমীর নজরুলমঞ্চে আয়োজিত বর্ষবিদায় অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক অজয় রায় এবং কথাসাহিত্যিক আবদুশ শাকুর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর। সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ডি ডি মল্লিকের চিত্রকর্মে বাংলার নিসর্গ
নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্যালারিতে ঢুকতেই চোখে পড়বে একটি গ্রাম। কুঁড়েঘর, ঘরের পাশে স্বচ্ছ জলের পুকুর। পুকুরে গাছের ছায়া। অ্যাক্রিলিকে আঁকা ছবিটি মনে প্রশান্তি জাগায়। আরও আছে ফুল, পাখি, পাহাড় এবং মানুষও। ঐতিহ্যবাহী পরিত্যক্ত স্থাপনার দেয়ালে পরগাছা চিরন্তন বাংলার নিসর্গ ক্যানভাসে মূর্ত হয়েছে।
জলরং, তেলরং, অ্যাক্রিলিক ও মিশ্র মাধ্যমে আঁকা শিল্পী ডি ডি মল্লিকের এমন ২১টি চিত্রকর্ম নিয়ে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের গ্যালারিয়া জুমে গত শুক্রবার শুরু হয়েছে একক প্রদর্শনী। ‘পোয়েট্রি অব দ্য ক্রিয়েটর’ শিরোনামের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম ও তরুণ ঘোষ।
‘পোয়েট্রি অব দ্য ক্রিয়েটর’ শিল্পীর তৃতীয় একক প্রদশনী। এটি চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।
বৈশাখী কনসার্ট
নববর্ষ উপলক্ষে টাপুরটুপুর কাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রবি বৈশাখী লাইভ কনসার্টের আয়োজন করেছে। কনসার্টে অংশগ্রহণকারী শিল্পী ও ব্যান্ড দলগুলো হচ্ছে—ফিডব্যাক, আর্ক, লালন ও মিলা। বিজ্ঞপ্তি।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ দূতাবাসে বৈশাখী উৎসব
কলকাতা প্রতিনিধি
আজ বৃহস্পতিবার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস চত্বরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়িত করা হবে কলকাতার অতিথিদের। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন শিল্পী খুরশীদ আলমসহ বাংলাদেশের অন্যান্য শিল্পী।
News Sours http://www.prothom-alo.com/allnewsdetails/date/2011-04-14/category/57
0 comments:
Post a Comment
Thanks For Comment Pediabd Group Web Site. Every Day update News from get PediaBD News. And Update Picture Update All Web Site Visit http://www.yahoobest.com/ or
http://www.pediabd.com/