২ মন্তব্য
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীর প্রতি পৃথক বাণীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, অতীতের বিভেদ ভুলে গিয়ে বাংলা নববর্ষ সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে—এটাই তাঁর প্রত্যাশা।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলা মাস ও তারিখের ভূমিকা চিরন্তন। পয়লা বৈশাখের আবেদন সর্বজনীন। তাই এ দিনটি সবাইকে প্রবলভাবে আপ্লুত করে, নতুনকে বরণ করে নেয়। পুরোনো গ্লানি মুছে দেয়। সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা দেয়।’
বাংলা নববর্ষ ১৪১৮ সবার জন্য শুভ ও কল্যাণকর হোক—এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘পয়লা বৈশাখে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা আমাদের জাতিসত্তাকে আরও বিকশিত ও ঐক্যবদ্ধ করবে। বাংলা নববর্ষ সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শক্তি জোগাবে।’
১৪১৮ বঙ্গাব্দের নববর্ষের প্রাক্কালে দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্বের সব বাঙালি সংস্কৃতির অনুরাগীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির অন্যতম প্রধান উৎসব বাংলা নববর্ষ। এ দিন গোটা দেশ শাশ্বত ঐতিহ্যে লালিত বাঙালি সংস্কৃতির চারণভূমিতে পরিণত হয়। বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনার আধার। এ চেতনাকে নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতার আগে ও পরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। আঘাত করা হয়েছে। বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো অপচেষ্টাই সফল হয়নি। বাঙালি জাতি তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে জীর্ণ, জরা ও গ্লানি মুছে দিয়ে সব বাঙালির জীবনে ১৪১৮ সন সুখ, সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ বয়ে আনুক—এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এক বাণীতে বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বাংলা নববর্ষ-১৪১৮ উপলক্ষে দেশ-বিদেশে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়া তাঁর শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ সুদীর্ঘকাল ধরে জাতির জীবনে বারবার ঘুরে আসে নতুন আঙ্গিক, রূপ, বর্ণ ও বৈচিত্র্য নিয়ে। এটা আসে এমন এক মুখরিত আনন্দে, যেখানে স্বজাতির লোকজ ঐতিহ্যের পরম্পরায় তার শিল্প, সাহিত্য, ভাষা, শিক্ষা, জ্ঞানচর্চা, ধর্ম বিশ্বাস, সংগীত, সামাজিক উৎসব, খাদ্যাভ্যাস, ক্রীড়া, মনন ও বুননের চালচিত্র ফুটে ওঠে এদিনে। পয়লা বৈশাখ আমাদের গর্বিত ঐতিহ্যকেই আনন্দের মহাসমারোহে স্মরণ করিয়ে দেয়, জেগে ওঠে জাতির আত্মপরিচয়। গত বছরের জরা-দুঃখ, অবসাদ-ক্লান্তি, হতাশা-গ্লানিকে অতিক্রম করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা নিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ।’ বাসস।
পাঠকের মন্তব্য
Pordeshi
২০১১.০৪.১৩ ২১:২৭
দু্ইটা কথা:
১. চাইলের দাম বেশী, খালি শুভেচ্ছা দিয়া কাম হইব না; চাইলের দাম কমাইয়া নতুন বছরটাতে যাতে ঠিক মতন ভাত খাইবার পারি সেই ব্যবস্থা করেন। তখন আর শুভেচ্ছা লাগব না, এমনিতেই খুশি হইমো !
২. নতুন বছরে জনগনের পক্ষ হতে দুই নেত্রী এবং মহামান্য প্রেসিডেন্টের প্রতি ভাগ্যাহত পরদেশীর শুভেচ্ছা ও আহ্বান:
" মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, নতুন বছরে আপনি দেশের দামি-বেদামি যেকোন ব্যাক্তিকেই গায়ের জোড়ে ধাক্কা দেবেন না, আপনার বেটা ছাত্রলীগকে একটু সামলে রাখবেন আর আপনার আচলের নিচের গড-ফাদার আর মজুতদার দেরকে একটু টাইটে রাখবেন। মাননীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আপনি শুধু মাত্র দুইটা প্রতিজ্ঞা করেন, ক. সংসদ বর্জন করবেন না। খ. হরতাল দেবেন না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আপনি শুধু একটা কাজের নিয়্যত করেন, আওয়ামীলীগের রাষ্ট্র পাতি না হয়ে আপনি বাংলাদেশর রাষ্ট্রপতি হবেন"
দেশের সকল জনগনকে ভাগ্যাহত পরদেশীর মরুময় বালির শুভেচ্ছা।
S M Haider Ali
২০১১.০৪.১৩ ২৩:২০
সংবাদটির হেডিংটা - জিল্লুর, হাসিনা, খালেদা এভাবে না বলে - রাষ্ট্রপতি, প্রধান মন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী সম্বোধন করলে ভাল হত।
News Source http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-13/news/146523
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীর প্রতি পৃথক বাণীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, অতীতের বিভেদ ভুলে গিয়ে বাংলা নববর্ষ সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে—এটাই তাঁর প্রত্যাশা।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলা মাস ও তারিখের ভূমিকা চিরন্তন। পয়লা বৈশাখের আবেদন সর্বজনীন। তাই এ দিনটি সবাইকে প্রবলভাবে আপ্লুত করে, নতুনকে বরণ করে নেয়। পুরোনো গ্লানি মুছে দেয়। সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা দেয়।’
বাংলা নববর্ষ ১৪১৮ সবার জন্য শুভ ও কল্যাণকর হোক—এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘পয়লা বৈশাখে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা আমাদের জাতিসত্তাকে আরও বিকশিত ও ঐক্যবদ্ধ করবে। বাংলা নববর্ষ সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শক্তি জোগাবে।’
১৪১৮ বঙ্গাব্দের নববর্ষের প্রাক্কালে দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্বের সব বাঙালি সংস্কৃতির অনুরাগীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির অন্যতম প্রধান উৎসব বাংলা নববর্ষ। এ দিন গোটা দেশ শাশ্বত ঐতিহ্যে লালিত বাঙালি সংস্কৃতির চারণভূমিতে পরিণত হয়। বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনার আধার। এ চেতনাকে নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতার আগে ও পরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। আঘাত করা হয়েছে। বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো অপচেষ্টাই সফল হয়নি। বাঙালি জাতি তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে জীর্ণ, জরা ও গ্লানি মুছে দিয়ে সব বাঙালির জীবনে ১৪১৮ সন সুখ, সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ বয়ে আনুক—এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এক বাণীতে বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বাংলা নববর্ষ-১৪১৮ উপলক্ষে দেশ-বিদেশে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়া তাঁর শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ সুদীর্ঘকাল ধরে জাতির জীবনে বারবার ঘুরে আসে নতুন আঙ্গিক, রূপ, বর্ণ ও বৈচিত্র্য নিয়ে। এটা আসে এমন এক মুখরিত আনন্দে, যেখানে স্বজাতির লোকজ ঐতিহ্যের পরম্পরায় তার শিল্প, সাহিত্য, ভাষা, শিক্ষা, জ্ঞানচর্চা, ধর্ম বিশ্বাস, সংগীত, সামাজিক উৎসব, খাদ্যাভ্যাস, ক্রীড়া, মনন ও বুননের চালচিত্র ফুটে ওঠে এদিনে। পয়লা বৈশাখ আমাদের গর্বিত ঐতিহ্যকেই আনন্দের মহাসমারোহে স্মরণ করিয়ে দেয়, জেগে ওঠে জাতির আত্মপরিচয়। গত বছরের জরা-দুঃখ, অবসাদ-ক্লান্তি, হতাশা-গ্লানিকে অতিক্রম করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা নিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ।’ বাসস।
পাঠকের মন্তব্য
Pordeshi
২০১১.০৪.১৩ ২১:২৭
দু্ইটা কথা:
১. চাইলের দাম বেশী, খালি শুভেচ্ছা দিয়া কাম হইব না; চাইলের দাম কমাইয়া নতুন বছরটাতে যাতে ঠিক মতন ভাত খাইবার পারি সেই ব্যবস্থা করেন। তখন আর শুভেচ্ছা লাগব না, এমনিতেই খুশি হইমো !
২. নতুন বছরে জনগনের পক্ষ হতে দুই নেত্রী এবং মহামান্য প্রেসিডেন্টের প্রতি ভাগ্যাহত পরদেশীর শুভেচ্ছা ও আহ্বান:
" মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, নতুন বছরে আপনি দেশের দামি-বেদামি যেকোন ব্যাক্তিকেই গায়ের জোড়ে ধাক্কা দেবেন না, আপনার বেটা ছাত্রলীগকে একটু সামলে রাখবেন আর আপনার আচলের নিচের গড-ফাদার আর মজুতদার দেরকে একটু টাইটে রাখবেন। মাননীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আপনি শুধু মাত্র দুইটা প্রতিজ্ঞা করেন, ক. সংসদ বর্জন করবেন না। খ. হরতাল দেবেন না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আপনি শুধু একটা কাজের নিয়্যত করেন, আওয়ামীলীগের রাষ্ট্র পাতি না হয়ে আপনি বাংলাদেশর রাষ্ট্রপতি হবেন"
দেশের সকল জনগনকে ভাগ্যাহত পরদেশীর মরুময় বালির শুভেচ্ছা।
S M Haider Ali
২০১১.০৪.১৩ ২৩:২০
সংবাদটির হেডিংটা - জিল্লুর, হাসিনা, খালেদা এভাবে না বলে - রাষ্ট্রপতি, প্রধান মন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী সম্বোধন করলে ভাল হত।
News Source http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-13/news/146523
0 comments:
Post a Comment
Thanks For Comment Pediabd Group Web Site. Every Day update News from get PediaBD News. And Update Picture Update All Web Site Visit http://www.yahoobest.com/ or
http://www.pediabd.com/