ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় হাটবাজারের ইজারার দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে আজ সোমবার আওয়ামী লীগের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আবদুর রশিদ (৩২) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন ছয় পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় ২০ জন নেতা-কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, দুপুর ১২টা ছিল উপজেলার খুলুমবাড়িয়া ও হাটফাজিলপুরের হাট ও বাজারের ইজারার দরপত্র দাখিলের শেষ সময়। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিকদার মোশারফ হোসেন উভয়েই ওই দুটি হাটবাজারের ইজারা নিতে আগ্রহী ছিলেন।
বেলা ১১টার দিকে তাঁদের সমর্থকেরা দরপত্র জমা দিতে এলে ইজারা নিয়ে তাঁদের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে তাঁরা ঢাল-সড়কি, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী নওরোজসহ সাতজন নেতা-কর্মী আহত হন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর উভয় পক্ষ শক্তি বাড়িয়ে শহরে সশস্ত্র মহড়া দিতে থাকে। তারা দোকানপাটে ভাঙচুর শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজমুল হক বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সগির মিঞা জানান, বিকেলে লোকজন শহর থেকে চলে গেলেও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দেখা যায়। এক পক্ষ অপর পক্ষের কর্মীদের খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে কাজীপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আজমের সমর্থক আবদুর রশিদকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই রশিদের মৃত্যু হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ মোট ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁরা কাঁদানে গ্যাসের কয়েকটি সেল নিক্ষেপ করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নায়েব আলী জোয়ারদার দাবি করেন, দলের ক্ষতি করতে একটি মহল এ জাতীয় ঘটনা ঘটাচ্ছে।
ইউএনও আজমুল হক আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দরপত্র নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, সংঘর্ষ চলাকালে শহর থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রাত আটটা নাগাদ কোনো পক্ষ মামলা করেনি।
News Source http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-18/news/147610
0 comments:
Post a Comment
Thanks For Comment Pediabd Group Web Site. Every Day update News from get PediaBD News. And Update Picture Update All Web Site Visit http://www.yahoobest.com/ or
http://www.pediabd.com/