৬৩ মন্তব্য
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শ দুয়েক নেতা-কর্মী। বেশির ভাগই জেলা পর্যায়ের। একজন দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে চলছে স্লোগান আর হাততালি। ঘটনাস্থল ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রাম। গতকাল মঙ্গলবার র্যাবের তদন্ত দল গেছে সেখানে লিমনের ওপর নিষ্ঠুরতার তদন্ত করতে। সে উপলক্ষেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে। গত ২৩ মার্চ র্যাব কলেজছাত্র লিমনের পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে।
গতকাল তদন্ত দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে সকাল ১০টা থেকে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় লোকজন নিয়ে সেখানে জড়ো হন। তাঁরা সেখানে সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে বেশ স্লোগান দেন। এলাকায় র্যাবের টহল জোরদার ও স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনেরও দাবি জানান।
ঘটনাস্থলেই পাওয়া যায় ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী খান সাইফুল্লাহকে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, র্যাবের তদন্তের সঙ্গে দলীয় লোকজনের উপস্থিতির সম্পর্ক কী? তিনি এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। বলেন, ‘রাজাপুরে সাতুরিয়া-নৈকাঠির মানুষ সন্ত্রাস ও মাদকের কাছে জিম্মি। আমরা এলাকার মানুষকে মাদকমুক্ত হওয়ার সাহস জোগাতে এসেছি, যাতে তারা মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। র্যাব ও পুলিশ যদি মাদক ও সন্ত্রাস দমন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’ তিনি বলেন, বিগত জোট সরকারের আমলে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমরের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় যুবদল নেতা মিজান ও মোরশেদ দুই ভাই মিলে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে।
সাধারণ সম্পাদকের পরে সেখানে একে একে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, উপদপ্তর সম্পাদক তরুণ কর্মকার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর হালদার, আফরোজা আক্তার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লস্কর আসিফুর রহমান, ঝালকাঠি সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মিলন, ঝালকাঠি শহর ছাত্রলীগ সভাপতি জিয়াউর রহমান, রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন মৃধা, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, সাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস ছোবাহান, ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাব্বির আহম্মেদ, সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, ঝালকাঠি পৌরসভার কাউন্সিলর প্রণব কুমার নাথ, হুমায়ুন কবির খান, মো. সেলিম মুন্সি প্রমুখ।
সমাবেশ চলার একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝালকাঠি সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে সাতুরিয়া গ্রামের পুরাতন জমাদ্দারহাট আসে র্যাবের তদন্ত দল। এ দলে ছিলেন উপমহাপরিদর্শক ও র্যাবের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মেসবাহ্ উদ্দিন, মেজর এ এস এম নাজমুল হক ও সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান। তদন্ত কমিটি পাশাপাশি র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান, র্যাব-৮-এর মেজর রাশেদ ও মেজর সাব্বির সেখানে আসেন।
র্যাব তদন্ত করবে কিন্তু দলীয় লোকজন কে এনেছেন জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঝালকাঠি পৌর মেয়র আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা লিমনের ওপর নির্যাতনের ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং তার সুচিকিৎসা চাই। এই গ্রামের মানুষ র্যাবের ভয়ে ভীত, এ কথা ঠিক নয়। এলাকার মানুষ র্যাবের টহল ছাড়া শান্তিতে থাকতে পারবে না।’ তিনি বলেন, লিমনের ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক নয়, লিমন ঘটনার শিকার। তবে সন্ত্রাসী মোরশেদের এক সহযোগীর নামও লিমন।
একই প্রশ্নের জবাবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লস্কর আসিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাতুরিয়া গ্রামে যাবেন—এ খবর শুনে তিনি এসেছেন।
রাজাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা চন্দ্রশেখর হালদার বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই এলাকায় আসবেন, আমরা না এসে পারি?’
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এখানে এলেও তাঁরা তদন্তে কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি।
তদন্ত কমিটির প্রধান মেসবাহ্ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও আশপাশের ১০ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে লিমনের মা হেনোয়ারাও আছেন। এ ছাড়া ২৫-৩০ জনের বক্তব্য শোনা হয়েছে।
র্যাবের গোয়েন্দাপ্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, ‘কাউকে দোষী বা নির্দোষ প্রমাণের জন্য আমরা এখানে আসিনি। ঘটনার দিন প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, সেই সত্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তে কেউ দোষী হলে অবশ্যই তাকে শাস্তি পেতে হবে।’
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি যাদের বক্তব্য লেইখ্যা নেছে, হেরা বেশির ভাগই এলাকার বাইরের লোক। এরা সন্ত্রাসী মোরশেদের একসময়ের সহযোগী এবং র্যাবের সোর্স। লিমনের ওপর গুলি করার সময় যারা ঘটনা কাছ থেকে দ্যাখছে, হেগো কথা কেউ হোনেনি।’
লিমনের ছোট বোন লাকি আক্তার বলেন, ঘটনা খুব কাছ থেকে দেখা স্কুলছাত্র রসুলের বক্তব্য তদন্ত কমিটি নেয়নি। অথচ চার কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা নুরুল আলম এবং এক কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা আবুল কালামের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তারা তো ঘটনাস্থলে ছিল না।
পাঠকের মন্তব্য
odhom
২০১১.০৪.১৩ ০১:৫০
এর নাম আওয়ামি লীগ !!!
Nurul Alam
২০১১.০৪.১৩ ০১:৫০
পরিহাস.... আসেন আমরা মনের দুখখে..হাসি.
Shahidul Islam
২০১১.০৪.১৩ ০১:৫৭
Trying to save RAB from law creating a drama there..
Tarique
২০১১.০৪.১৩ ০২:০৭
তদন্তের নামে আর কত প্রহসন চলবে? প্রতিনিয়ত এসব অসভ্য লোকের জন্য কত লিমনের জীবনে অন্ধকার নেমে আসছে কে জানে?
jahangir
২০১১.০৪.১৩ ০২:০৯
‘তদন্ত কমিটি যাদের বক্তব্য লেইখ্যা নেছে, হেরা বেশির ভাগই এলাকার বাইরের লোক। এরা সন্ত্রাসী মোরশেদের একসময়ের সহযোগী এবং র্যাবের সোর্স। ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, মাই গডনেছ । তাহলে দেশটা ত রসাতলে জাচ্চে কোন সনদেহ নাই । সরকার পতনের জন্য আর কি দরকার ।
২০১১.০৪.১৩ ০২:১৯
shame ... shame...
২০১১.০৪.১৩ ০২:২০
Open inquiry of every cross firing killings.See how they arrange "তদন্তের সঙ্গে সমাবেশ!"
Abdullah al-mamun. রংপুর।
২০১১.০৪.১৩ ০২:৩৭
একেই বলে রাজনীতি। যেখানে গুড় সেখানেই পিঁপড়া। স্থানীয় আওয়ামিলীগ সমাবেশের আয়োজন করে দেশবাসীর কাছে ভুল বার্তা পৌছে দিলেন। RAB করতে গিয়েছিল তদন্ত, আর আওয়ামি, লীগ করতে গিয়েছিল রাজনীতি। আমার মতে RAB সমাবেশটি নিষিদ্ধ করতে পারত।
লিমনকে নিয়ে এই আলোচিত ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে স্থানীয় ব্যাক্তিদের সাক্ষ্য না নিয়ে RAB নিজেদেরকে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ করলেন।এখন দেখার অপেক্ষায় রইলাম তদন্ত রির্পোট ন্যায় বিচার পেতে কতটুকু সহায়তা করে।
২০১১.০৪.১৩ ০২:৪২
"লিমনের ছোট বোন লাকি আক্তার বলেন, ঘটনা খুব কাছ থেকে দেখা স্কুলছাত্র রসুলের বক্তব্য তদন্ত কমিটি নেয়নি। অথচ চার কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা নুরুল আলম এবং এক কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা আবুল কালামের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তারা তো ঘটনাস্থলে ছিল না। " ওরে বাবা ৪ কিমি আর ১ কিমি দূরের বাসিন্দাদের বক্তব্য নেওয়া হল অথচ ঘটনা খুব কাছ থেকে দেখা স্কুলছাত্র রসুলের বক্তব্য তদন্ত কমিটি নেয়নি। এবার বুঝুন কেমন তদন্ত কমিটি আর তদন্ত রিপোট হবে!!!
Md.Kamal Hossain
২০১১.০৪.১৩ ০২:৫৫
WHAT IS THIS?ANY BODY CAN TELL?
Dr.M.Hoque
২০১১.০৪.১৩ ০২:৫৭
Why the Home Minister and the Prime Minister is not listening or hearing the consperiency by the RAB and their investigation team. If the statement of Lemon’s mother and sister is truly come in the news the member of this investigation team should be immediately brought in to the justice and exemplary punished. What an inhumane crime has been committed by this ... RAB and what an inhuman conspirators are investigating this inhuman act of RAB?
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শ দুয়েক নেতা-কর্মী। বেশির ভাগই জেলা পর্যায়ের। একজন দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে চলছে স্লোগান আর হাততালি। ঘটনাস্থল ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রাম। গতকাল মঙ্গলবার র্যাবের তদন্ত দল গেছে সেখানে লিমনের ওপর নিষ্ঠুরতার তদন্ত করতে। সে উপলক্ষেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে। গত ২৩ মার্চ র্যাব কলেজছাত্র লিমনের পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে।
গতকাল তদন্ত দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে সকাল ১০টা থেকে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় লোকজন নিয়ে সেখানে জড়ো হন। তাঁরা সেখানে সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে বেশ স্লোগান দেন। এলাকায় র্যাবের টহল জোরদার ও স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনেরও দাবি জানান।
ঘটনাস্থলেই পাওয়া যায় ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী খান সাইফুল্লাহকে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, র্যাবের তদন্তের সঙ্গে দলীয় লোকজনের উপস্থিতির সম্পর্ক কী? তিনি এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। বলেন, ‘রাজাপুরে সাতুরিয়া-নৈকাঠির মানুষ সন্ত্রাস ও মাদকের কাছে জিম্মি। আমরা এলাকার মানুষকে মাদকমুক্ত হওয়ার সাহস জোগাতে এসেছি, যাতে তারা মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। র্যাব ও পুলিশ যদি মাদক ও সন্ত্রাস দমন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’ তিনি বলেন, বিগত জোট সরকারের আমলে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমরের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় যুবদল নেতা মিজান ও মোরশেদ দুই ভাই মিলে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে।
সাধারণ সম্পাদকের পরে সেখানে একে একে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, উপদপ্তর সম্পাদক তরুণ কর্মকার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর হালদার, আফরোজা আক্তার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লস্কর আসিফুর রহমান, ঝালকাঠি সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মিলন, ঝালকাঠি শহর ছাত্রলীগ সভাপতি জিয়াউর রহমান, রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন মৃধা, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, সাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস ছোবাহান, ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাব্বির আহম্মেদ, সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, ঝালকাঠি পৌরসভার কাউন্সিলর প্রণব কুমার নাথ, হুমায়ুন কবির খান, মো. সেলিম মুন্সি প্রমুখ।
সমাবেশ চলার একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝালকাঠি সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে সাতুরিয়া গ্রামের পুরাতন জমাদ্দারহাট আসে র্যাবের তদন্ত দল। এ দলে ছিলেন উপমহাপরিদর্শক ও র্যাবের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মেসবাহ্ উদ্দিন, মেজর এ এস এম নাজমুল হক ও সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান। তদন্ত কমিটি পাশাপাশি র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান, র্যাব-৮-এর মেজর রাশেদ ও মেজর সাব্বির সেখানে আসেন।
র্যাব তদন্ত করবে কিন্তু দলীয় লোকজন কে এনেছেন জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঝালকাঠি পৌর মেয়র আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা লিমনের ওপর নির্যাতনের ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং তার সুচিকিৎসা চাই। এই গ্রামের মানুষ র্যাবের ভয়ে ভীত, এ কথা ঠিক নয়। এলাকার মানুষ র্যাবের টহল ছাড়া শান্তিতে থাকতে পারবে না।’ তিনি বলেন, লিমনের ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক নয়, লিমন ঘটনার শিকার। তবে সন্ত্রাসী মোরশেদের এক সহযোগীর নামও লিমন।
একই প্রশ্নের জবাবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লস্কর আসিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাতুরিয়া গ্রামে যাবেন—এ খবর শুনে তিনি এসেছেন।
রাজাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা চন্দ্রশেখর হালদার বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই এলাকায় আসবেন, আমরা না এসে পারি?’
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এখানে এলেও তাঁরা তদন্তে কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি।
তদন্ত কমিটির প্রধান মেসবাহ্ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও আশপাশের ১০ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে লিমনের মা হেনোয়ারাও আছেন। এ ছাড়া ২৫-৩০ জনের বক্তব্য শোনা হয়েছে।
র্যাবের গোয়েন্দাপ্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, ‘কাউকে দোষী বা নির্দোষ প্রমাণের জন্য আমরা এখানে আসিনি। ঘটনার দিন প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, সেই সত্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তে কেউ দোষী হলে অবশ্যই তাকে শাস্তি পেতে হবে।’
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি যাদের বক্তব্য লেইখ্যা নেছে, হেরা বেশির ভাগই এলাকার বাইরের লোক। এরা সন্ত্রাসী মোরশেদের একসময়ের সহযোগী এবং র্যাবের সোর্স। লিমনের ওপর গুলি করার সময় যারা ঘটনা কাছ থেকে দ্যাখছে, হেগো কথা কেউ হোনেনি।’
লিমনের ছোট বোন লাকি আক্তার বলেন, ঘটনা খুব কাছ থেকে দেখা স্কুলছাত্র রসুলের বক্তব্য তদন্ত কমিটি নেয়নি। অথচ চার কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা নুরুল আলম এবং এক কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা আবুল কালামের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তারা তো ঘটনাস্থলে ছিল না।
পাঠকের মন্তব্য
odhom
২০১১.০৪.১৩ ০১:৫০
এর নাম আওয়ামি লীগ !!!
Nurul Alam
২০১১.০৪.১৩ ০১:৫০
পরিহাস.... আসেন আমরা মনের দুখখে..হাসি.
Shahidul Islam
২০১১.০৪.১৩ ০১:৫৭
Trying to save RAB from law creating a drama there..
Tarique
২০১১.০৪.১৩ ০২:০৭
তদন্তের নামে আর কত প্রহসন চলবে? প্রতিনিয়ত এসব অসভ্য লোকের জন্য কত লিমনের জীবনে অন্ধকার নেমে আসছে কে জানে?
jahangir
২০১১.০৪.১৩ ০২:০৯
‘তদন্ত কমিটি যাদের বক্তব্য লেইখ্যা নেছে, হেরা বেশির ভাগই এলাকার বাইরের লোক। এরা সন্ত্রাসী মোরশেদের একসময়ের সহযোগী এবং র্যাবের সোর্স। ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, মাই গডনেছ । তাহলে দেশটা ত রসাতলে জাচ্চে কোন সনদেহ নাই । সরকার পতনের জন্য আর কি দরকার ।
২০১১.০৪.১৩ ০২:১৯
shame ... shame...
২০১১.০৪.১৩ ০২:২০
Open inquiry of every cross firing killings.See how they arrange "তদন্তের সঙ্গে সমাবেশ!"
Abdullah al-mamun. রংপুর।
২০১১.০৪.১৩ ০২:৩৭
একেই বলে রাজনীতি। যেখানে গুড় সেখানেই পিঁপড়া। স্থানীয় আওয়ামিলীগ সমাবেশের আয়োজন করে দেশবাসীর কাছে ভুল বার্তা পৌছে দিলেন। RAB করতে গিয়েছিল তদন্ত, আর আওয়ামি, লীগ করতে গিয়েছিল রাজনীতি। আমার মতে RAB সমাবেশটি নিষিদ্ধ করতে পারত।
লিমনকে নিয়ে এই আলোচিত ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে স্থানীয় ব্যাক্তিদের সাক্ষ্য না নিয়ে RAB নিজেদেরকে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ করলেন।এখন দেখার অপেক্ষায় রইলাম তদন্ত রির্পোট ন্যায় বিচার পেতে কতটুকু সহায়তা করে।
২০১১.০৪.১৩ ০২:৪২
"লিমনের ছোট বোন লাকি আক্তার বলেন, ঘটনা খুব কাছ থেকে দেখা স্কুলছাত্র রসুলের বক্তব্য তদন্ত কমিটি নেয়নি। অথচ চার কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা নুরুল আলম এবং এক কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা আবুল কালামের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তারা তো ঘটনাস্থলে ছিল না। " ওরে বাবা ৪ কিমি আর ১ কিমি দূরের বাসিন্দাদের বক্তব্য নেওয়া হল অথচ ঘটনা খুব কাছ থেকে দেখা স্কুলছাত্র রসুলের বক্তব্য তদন্ত কমিটি নেয়নি। এবার বুঝুন কেমন তদন্ত কমিটি আর তদন্ত রিপোট হবে!!!
Md.Kamal Hossain
২০১১.০৪.১৩ ০২:৫৫
WHAT IS THIS?ANY BODY CAN TELL?
Dr.M.Hoque
২০১১.০৪.১৩ ০২:৫৭
Why the Home Minister and the Prime Minister is not listening or hearing the consperiency by the RAB and their investigation team. If the statement of Lemon’s mother and sister is truly come in the news the member of this investigation team should be immediately brought in to the justice and exemplary punished. What an inhumane crime has been committed by this ... RAB and what an inhuman conspirators are investigating this inhuman act of RAB?
0 comments:
Post a Comment
Thanks For Comment Pediabd Group Web Site. Every Day update News from get PediaBD News. And Update Picture Update All Web Site Visit http://www.yahoobest.com/ or
http://www.pediabd.com/