এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল থেকে আজ বুধবার ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো এক নির্দেশে এই তথ্য তলব করা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে আমানত ও ঋণ হিসাব এবং যেকোনো ধরনের বিনিয়োগের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। ২০০৪-০৫ অর্থবছর থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছর পর্যন্ত এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভল্ট, লকার, সঞ্চয়পত্র, ক্রেডিট কার্ডসহ যেকোনো ধরনের আর্থিক বিনিয়োগের এই তথ্য চাওয়া হয়েছে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ১১৩ (এফ) ধারা অনুসারে। চিঠিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার আর আজ তা ব্যাংকগুলোতে পৌঁছেছে।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে সরকার গঠিত পুঁজিবাজার তদন্ত প্রতিবেদনে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম নানাভাবে রয়েছে।
এনবিআরের চিঠিতে যাঁদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন, এসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার, রাষ্ট্র খাতের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইফতিখার উজ জামান ও তাঁর স্ত্রী শায়লা জামান, আইসিবির ডিজিএম (সহকারী মহাব্যবস্থাপক) আবদুর রউফ, তাঁর স্ত্রী সাইদা পারভীন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী গুলজার বেগম এবং ডিএসইর বর্তমান সভাপতি শাকিল রিজভী ও তাঁর স্ত্রী রেহানা রিজভী। তাঁদের বিষয়ে ঢাকা মহানগরের সব ব্যাংকের তথ্য চাওয়া হয়েছে। আর চট্টগ্রাম মহানগর এলাকা থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি চিটাগাং ভেজিটেবল অয়েল, এর পাঁচ পরিচালক যথাক্রমে শামসুল আলম শামীম, এ এইচ এম হাবিবুল্লাহ, নুরুল আলম, মো. আমিন ও ইযরানুল হকের।
তদন্ত প্রতিবেদন কোনো সংশোধন ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছিলেন, শেয়ারবাজার কারসাজির প্রতিবেদন ধরে ক্ষেত্রবিশেষে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা যেমন-এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিবিড় তদন্ত করবে।
news source http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-05-11/news/153564