হেনার মৃত্যু
হেনার ছবি
কত নিষ্পাপ একটি মুখ। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ফতোয়াবাজেরা হেনাকে দোররা মারার নির্দেশ দেয়। দোররার আঘাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা যায় হেনা
ছবি: প্রথম আলো
ফতোয়ার শিকার হেনার মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম ময়নাতদন্ত নিয়ে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জনসহ চারজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে দেওয়া হাইকের্টের আদেশের কার্যকারিতা চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রথম ময়নাতদন্ত নিয়ে মামলার আলামত নষ্ট, তথ্য গোপন ও ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ আনা হয়।
হাইকোর্টের আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে চিকিৎসকদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা এ স্থগিতাদের দেন।
চার চিকিৎ সক হলেন—শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন গোলাম সারোয়ার, নির্মল চন্দ্র দাস, হোসনে আরা ও রাজেশ মজুমদার।
হাইকোর্টের আদেশে পুলিশের মহাপরিদর্শক, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ওই চার চিকিৎ সকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আদালত এ চারজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে এ চারজনের সনদের বিষয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।
এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের আইনজীবী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট ওই চার চিকিৎ সকের সনদ বাতিল, বিভাগীয় ব্যবস্থা ও মামলা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের এ আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ফলে তাঁরা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে তিনি জানান।
প্রথম দফায় শরীয়তপুরে হেনার ময়নাতদন্ত করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হেনার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি—এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় দফায় হেনার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। তবে দ্বিতীয় প্রতিবেদনে জানা যায়, ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণে হেনার মৃত্যু ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা গ্রামে সালিসে দেওয়া ফতোয়ার পর নির্যাতনের শিকার হেনা আক্তার (১৪) গত ৩১ জানুয়ারি মারা যায়। গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে ‘মেয়েটির জন্য কারও মায়া হলো না!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি সীমা জহুর। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।
হেনার ছবি
কত নিষ্পাপ একটি মুখ। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ফতোয়াবাজেরা হেনাকে দোররা মারার নির্দেশ দেয়। দোররার আঘাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা যায় হেনা
ছবি: প্রথম আলো
ফতোয়ার শিকার হেনার মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম ময়নাতদন্ত নিয়ে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জনসহ চারজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে দেওয়া হাইকের্টের আদেশের কার্যকারিতা চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রথম ময়নাতদন্ত নিয়ে মামলার আলামত নষ্ট, তথ্য গোপন ও ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ আনা হয়।
হাইকোর্টের আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে চিকিৎসকদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা এ স্থগিতাদের দেন।
চার চিকিৎ সক হলেন—শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন গোলাম সারোয়ার, নির্মল চন্দ্র দাস, হোসনে আরা ও রাজেশ মজুমদার।
হাইকোর্টের আদেশে পুলিশের মহাপরিদর্শক, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ওই চার চিকিৎ সকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আদালত এ চারজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে এ চারজনের সনদের বিষয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।
এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের আইনজীবী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট ওই চার চিকিৎ সকের সনদ বাতিল, বিভাগীয় ব্যবস্থা ও মামলা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের এ আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ফলে তাঁরা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে তিনি জানান।
প্রথম দফায় শরীয়তপুরে হেনার ময়নাতদন্ত করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হেনার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি—এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় দফায় হেনার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। তবে দ্বিতীয় প্রতিবেদনে জানা যায়, ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণে হেনার মৃত্যু ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা গ্রামে সালিসে দেওয়া ফতোয়ার পর নির্যাতনের শিকার হেনা আক্তার (১৪) গত ৩১ জানুয়ারি মারা যায়। গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে ‘মেয়েটির জন্য কারও মায়া হলো না!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি সীমা জহুর। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।
0 comments:
Post a Comment
Thanks For Comment Pediabd Group Web Site. Every Day update News from get PediaBD News. And Update Picture Update All Web Site Visit http://www.yahoobest.com/ or
http://www.pediabd.com/