রাজশাহীতে নিখোঁজ ব্যবসায়ী আমিরুল হকের (৪৫) নয় টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নগরের একটি বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নগরের হক ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের মালিক আমিরুল রোববার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার ও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার সারোয়ার হোসেন (৪০), তাঁর দোকানের কর্মচারী একই এলাকার আবদুল হাকিম (২০) ও ব্যবসায়ী আলী আহাম্মেদ (৪৮)। এ ছাড়া পুলিশ সারোয়ারের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন (৪৮) ও তাঁর চাচা সোহরাব হোসেনকে (৫০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তাঁরা সবাই স্থায়ীভাবে রাজশাহীতে ব্যবসা করছেন।
ব্যবসায়ী আমিরুল হককে অপহরণের অভিযোগে গত রোববার রাতে তাঁর শ্যালক মাহমুদ হোসেন নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাক জানান, আমিরুল হকের মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ জানতে পারে তাঁর নম্বরে আলী আহাম্মেদ কথা বলেছেন। সাগরপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ আলী আহাম্মেদকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে আলুপট্টি এলাকার সারোয়ারের বাসার কথা বলেন। পুলিশ সারোয়ারের বাসায় গিয়ে তাঁকে ও তাঁর দোকানের কর্মচারী আবদুল হাকিমকে আমিরুলের লাশের টুকরা পলিথিন ব্যাগে ঢোকানোর প্রস্তুতি নিতে দেখে।
আবদুর রাজ্জাক আরও জানান, সারোয়ার পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে আজ বুধবার ভোরে লাশের টুকরাগুলো তাঁরা পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
সারোয়ারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, আমিরুলের কাছে সারোয়ার জমি বিক্রি বাবদ চার লাখ টাকা পেতেন। কিন্তু টাকা না দিয়ে আমিরুল দীর্ঘদিন তাঁকে ঘুরাচ্ছিলেন। গত রোববার আমিরুল সারোয়ারের আলুপট্টির বাসায় ২২ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তখন তারা আমিরুলকে বেঁধে বাকি টাকার জন্য বাড়িতে ফোন দিতে বলে। আমিরুল তাঁর বাসায় ফোন করে ২০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে সারোয়ারের কর্মচারী হাকিমকে দিতে বলেন। একপর্যায়ে তাঁরা আমিরুলের মুখে টেপ মেরে ও তোয়ালে দিয়ে মুখ বেঁধে রান্না ঘরে আটকে রাখেন। সারোয়ারের দাবি, রাতে আমিরুলকে মৃত অবস্থায় দেখে রান্নাঘরেই তাঁর লাশ কাটা হয়।
তবে পুলিশের ধারণা, জীবিত অবস্থাতেই রান্নাঘরে আমিরুলকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশের সঙ্গে সারোয়ারের বাসা থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে ১৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
বোয়ালিয়া থানায় কর্তব্যরত এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, লাশের টুকরা উদ্ধার করে সকালেই ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
News Source http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-13/news/146477
নগরের হক ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের মালিক আমিরুল রোববার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার ও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার সারোয়ার হোসেন (৪০), তাঁর দোকানের কর্মচারী একই এলাকার আবদুল হাকিম (২০) ও ব্যবসায়ী আলী আহাম্মেদ (৪৮)। এ ছাড়া পুলিশ সারোয়ারের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন (৪৮) ও তাঁর চাচা সোহরাব হোসেনকে (৫০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তাঁরা সবাই স্থায়ীভাবে রাজশাহীতে ব্যবসা করছেন।
ব্যবসায়ী আমিরুল হককে অপহরণের অভিযোগে গত রোববার রাতে তাঁর শ্যালক মাহমুদ হোসেন নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাক জানান, আমিরুল হকের মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ জানতে পারে তাঁর নম্বরে আলী আহাম্মেদ কথা বলেছেন। সাগরপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ আলী আহাম্মেদকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে আলুপট্টি এলাকার সারোয়ারের বাসার কথা বলেন। পুলিশ সারোয়ারের বাসায় গিয়ে তাঁকে ও তাঁর দোকানের কর্মচারী আবদুল হাকিমকে আমিরুলের লাশের টুকরা পলিথিন ব্যাগে ঢোকানোর প্রস্তুতি নিতে দেখে।
আবদুর রাজ্জাক আরও জানান, সারোয়ার পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে আজ বুধবার ভোরে লাশের টুকরাগুলো তাঁরা পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
সারোয়ারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, আমিরুলের কাছে সারোয়ার জমি বিক্রি বাবদ চার লাখ টাকা পেতেন। কিন্তু টাকা না দিয়ে আমিরুল দীর্ঘদিন তাঁকে ঘুরাচ্ছিলেন। গত রোববার আমিরুল সারোয়ারের আলুপট্টির বাসায় ২২ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তখন তারা আমিরুলকে বেঁধে বাকি টাকার জন্য বাড়িতে ফোন দিতে বলে। আমিরুল তাঁর বাসায় ফোন করে ২০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে সারোয়ারের কর্মচারী হাকিমকে দিতে বলেন। একপর্যায়ে তাঁরা আমিরুলের মুখে টেপ মেরে ও তোয়ালে দিয়ে মুখ বেঁধে রান্না ঘরে আটকে রাখেন। সারোয়ারের দাবি, রাতে আমিরুলকে মৃত অবস্থায় দেখে রান্নাঘরেই তাঁর লাশ কাটা হয়।
তবে পুলিশের ধারণা, জীবিত অবস্থাতেই রান্নাঘরে আমিরুলকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশের সঙ্গে সারোয়ারের বাসা থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে ১৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
বোয়ালিয়া থানায় কর্তব্যরত এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, লাশের টুকরা উদ্ধার করে সকালেই ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
News Source http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-13/news/146477
0 comments:
Post a Comment
Thanks For Comment Pediabd Group Web Site. Every Day update News from get PediaBD News. And Update Picture Update All Web Site Visit http://www.yahoobest.com/ or
http://www.pediabd.com/